সান্নিধ্য

সান্নিধ্য

 

মালোবিকা এইখানে ঘন হয়ে এসো

এই মৃতকবরের, হয়তো নিসঃঙ্গ কোনো গল্পের পাশাপাশি

অশ্রুত নীরব শব্দের আরও কাছাকাছি

মালোবিকা তোমার আঘ্রাণে

সঞ্জীবনী মন্ত্র ছিল নাকি?

সত্যযুগের কথা থাক কে জানে সে গল্প কথা কিনা

তোমার কথা বলো

মালোবিকা আমাদের পুরুষের আঘ্রাণে

তোমরা যুগের মতো নিজে

সেই যুগের গন্ধে ভিজে আমাদের স্বপন সাধ হৃদয়

এইখানে এই মৃতকবরের ভিতর যত সাধ পাথর হয়ে ভেজে,

 তত গল্প হাড়ের মাঝে দূর্বা হয়ে বাড়ে

মালোবিকা দেখতে পেলে নিজে? তোমার বুকে

গহীন কটা ঘামে ঠিক যখনই গল্পগুচ্ছ নামে;

ঐখানেতে একটুকু কান পেত

তোমার ঠোঁটের প্রত্যয়েতে মালোবিকা সেইতো মন্ত্র হতো

সঞ্জীবনী হোক না হোক মালোবিকা

একটা চেস্টা করা যেত?

 

(২৪/০৫/১২)

সাম্ভব্য প্রস্তাবনা

সাম্ভব্য প্রস্তাবনা

 

অভিশপ্ত ঠোঁটের পিঞ্জরে

মৃত্যুর পদধ্বনি গুনেছি

নিভৃত জ্যোৎস্নায় ভেজা শিকারীর চোখের মতো

একাগ্র ধ্যানে বসেছে আবহমান

মহাকালের নিস্প্রদীপ সন্ধ্যারতি নয়

নিহারিকা মিছিলের গুঞ্জনধ্বনির মতো

বিন্দু বিন্দু ছায়াপথের কোল ঘেঁষে চলেছি

আমাদের সন্তান সন্ততির হাতে ধরে

ডি.এন.এ.-র ক্রমিক বিন্যাসে

প্রতিটি জন্মের মতো

হাড়হিম মৃত্যুর উৎসমুখের দুর্নিবার আকর্ষণ

প্রেমের বিশৃঙ্খল ক্রমিক উপাখ্যান

কিংবদন্তীর মতো  উজ্জ্বল হয়ে উঠবে একদিন

মানুষের রোজকার সন্ধি প্রস্তাবে আমাদের নান্দীমুখ

যুদ্ধ নয় মৃত্যু নয়

উন্মত্ত রাষ্ট্রসংঘের গোলটেবিলে

শুশ্রূষার আরতিতে হাসি ফুটুক নবজাতকের ঘরে ঘরে

 

(২৯/০৩/১৪)

 

সুপ্রভাতের এই প্রভাতে

সুপ্রভাতের এই প্রভাতে

 

সুপ্রভাতের উঠলে ঊষা পূবগগনে

শিশির ছোঁয়া হাওয়ার আঁচল তোমার মনে

কি রঙ রাঙায় বলতে পারো চুপি চুপি

সঙ্গোপনে আমার কানে?

 

আমার একার একলা রাতের বেসুর গানে

সে রঙটুকু ভরিয়ে নেব এই তো আশা

সেই আশাতেই এই আলোতে আধাঁর কেটে হেথায় আসা

একটু আধটু প্রাণটা খুলে এই তোমাদের পাশে বসা

 

কি আর হবে অভিমানের নীল দরিয়ায় একা একা

একলা ভেসে তার চেয়ে বরং দুহাত বাড়াও এগিয়ে এসে

মন খোলা রঙ রাঙিয়ে দিতে ভালোবেসে

এইতো মোটে একটা জীবন আমার পাওয়া

 

গহীন নীলের মাঝ দরিয়ায় ভেসে যাওয়া

আর কি হবে? তাইতো সখা আর দেরি নয়

হাতটি ধরো- বুকের মাঝে ঘরটি তুলি

সবাই এসো পরস্পরের রূদ্ধদূয়ার মনটি খুলি মনটি খুলি

 

এই প্রভাতে ঊষার আলোর সুপ্রভাতে

 

(১৮/০১/২০১২)

সুরসঙ্গতি

সুরসঙ্গতি

 

শব্দের কঙ্কাল জুড়ে আমার অস্থিমজ্জায়

দিনান্তের স্বরলিপি দ্বারকার জল যেন টলমল

সাম্রাজ্যের ভগ্নশেষ ইতিহাস

নিরুপম সূর্যালোকের মতো নয়,

তবু আমাদের অভিজ্ঞতার বন্দরে

নোঙর ফেলে দেখো কত অভিমানী রক্তে

বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা কৃষ্ণের রাধা হয়ে আছে

জীবনের মুহ্যমান গ্রাসে অনভিপ্রেত ছায়াদের ত্রাস

প্রকম্পিত সময় সরণী ঘিরে অনিবার....

 

তবু অনিবার্য প্রেমের পরিণতি

শব্দের কঙ্কালে জুড়েছে সুরসঙ্গতি

নির্লিপ্ত ঈশ্বরের চোখের মতো নয় এ কবির বাণী,

শব্দের ঘাটে বসে একটা দুটো প্রেমের অক্ষরে

মহাকাব্যের তুলি বুলাতে তৎপর

অতঃপর মানুষের চিত্রকল্পে শব্দের মহানিঃশব্দ সমাধি

প্রেমের ছন্দ খুঁজে পেলে, পৃথিবী আবারো রঙিন হতে পারে

 

(১৬/০৬/১৩)

সূচিপত্র

সূচিপত্র 

বদলে যাচ্ছে দেশ

মৃতদেহ বাহকদের দেখ.....

যারা মাতৃশরীরে এঁকে যায়

দগদগে ঘায় রোজকার দিনলিপি

মৃত্যুনদীর চরাচরে

সংসারের স্বপ্নঘর

মঞ্জুলিকার

আমার শৈশবের

নকল গড়

অভিব্যক্তির পথে ফেটে চৌচির

মৃতের ঘাম অপেক্ষা করে

ঋণশোধের মাটি সমুদ্রের

জল কেটে কবিতার ওম

ভাস্করের স্বাধীনতায়

বিমুখ, ঈশ্বর নয় মনে হয়;

তবুও

ঠেকনা কাঠিতে

নিশ্চিন্ত হৃদয়

রাত্রি

পাথরের স্তব

একবোধ চোখ

আলো ছোটা ডানা

আমার মা

 

তবু চলো কথা আছে

রোদ্দুর

সুদিন আসবেই

 

তবে কেন শূন্য হাতে ফিরি

পথের সামনে

বদলে যাচ্ছে দেশ

মানুষ দেখেছি আমি

সূর্যভ্রূণ

 সূর্যভ্রূণ

 

আহ্লাদী ঈশ্বরের কাছে

অঙ্কুরিত প্রতীক্ষার কামনায়

একখণ্ড মানস সরোবর পেলে

অবরুদ্ধ ক্লান্ত নীলিমার শরীরে

জলপাই রঙের মেঘমল্লার

কোটি কোটি স্বপ্ন বুনে ফেলে

 

মৃগনাভীর মোড় পেরিয়ে

উন্মুক্ত কৃষ্ণগহ্বরে ডুবে যেতে যেতে

দিকশূন্য অস্তাচলের গান

ভেসে ভেসে আসে

তখন আবহমান শব্দপুঞ্জের

প্রচলিত বিশ্বাসে কয়েক টুকরো

সকালের উষ্ণতার

বড়ো প্রয়োজন আছে

 

একশ আটটি নীলপদ্মের

ডানায় মায়াকাননের পথে

বেতসলতার মত নারীর ভালোবাসা

ছুঁয়ে গেলে ঊর্ণনাভ হৃদয়,

ফুলেল মরিচিকা পিঠে হাত রাখতে চায়

আহ্লাদী ঈশ্বরের মধ্যরাতের চুম্বনে

আমাদের অন্তিম সাক্ষাত-

অসমাপ্ত উপকথার ছায়াশরীরে,

সূর্যভ্রূণ পদধূলি রেখে চলে যায়

 

(১১/১১/১২)

সূর্যমুখীর আলো

সূর্যমুখীর আলো

 

অন্ধকারে একা? দৃষ্টিতে দীপ্ত হয় না কিছুই

লুব্ধক ধক ধক করে কৃষ্ণপক্ষের রাত

গাঢ় আশ্লেষে আটকে যায় তোমার চৌকাঠে

ওদিকে এই রাতে বিষণ্ণ চাদরে

কত ক্যালেণ্ডার জুড়ে তবুও শ্বেত কপোত ওড়ে

কিংবা ওড়াতে হয় কেননা বিদগ্ধ সময়

বারোমাস এক ঘড়িতে কথা বলে

আমার হৃদয় ডেকে ডেকে তবু বলে

একবার ভালোবেসে কাছে ডাকো ভালোবেসে

শরীরে শরীর দিয়ে মননে মন

চোখে চোখ নাই রাখলে

কিংবা ঠোঁটেতে ঠোঁট

রাত্রির অন্ধকার দেখ কত আলো হয়ে ওঠে

বিমুগ্ধ মিলনে

বহুদূর ইতিহাস ঘেঁটে

বারংবার দেখেছি

সময় হৃদয়ের কাছে স্থিত হতে চায়

হৃদয়ের অনন্ত ধ্বনি সময় সঙ্গমে নেমে

বিচ্ছিন্নতা নয়,

সূর্যমুখীর আলো হতে চায়

 

(২২/০৩/১২)

সেদিন দুজনে

 সেদিন দুজনে

 

মানুষ হারিয়ে গেলে বিশ্বাসের আড়ালে,

রাগ নয় বিরোধ নয়,

প্রতিশোধ স্পৃহার আগুন না উঠলেও জ্বলে—

তবুও হঠাৎ দেখি স্মৃতির বেদনাই শুধু দু-হাত বাড়ালে

বাতাস ভারী হয়, যন্ত্রনা বেদনা নিয়ে অতীতে দাঁড়ালে

 

দুঃখের নদীর মত বৈশাখী প্রহরে

ঢেউহারা জলধারা ধূ-ধূ বালি বুকে পড়ে থাকা;

বন্যার বেগের মত স্মৃতি বুকে করে

সমস্ত চুম্বন ঝরে গেলে অধরের ক্ষত; দহন;

দগ্ধ করে হৃদয় গভীরে প্রিয়, অতি প্রিয় মুখটি মনে করে

 

জীবনের  ছুটকো আঘাত হয়ত তবুও

প্রভাত নয়তো এত ম্লান মুখে দাঁড়াত সম্মুখে?

কটা রাত আরও কেটে যেত যদি অম্লান সুখে?

আরও কিছু আদর বাকি আয়ুপথে উজ্জ্বল হতো নাকি

বিরহী প্রতিবিম্বিত দুই মুখে?

 

(০৫/০৯/১২)

 

সেদিনের গল্প

 সেদিনের গল্প

 

শ্যাওলাধরা নীল আকাশের বুকে আমদের মনটিয়া

বেগুণী ভূমিকম্পের ডানায় তিরতির করে কাঁপছিল।

এখানে রিখটার স্কেলে শতাব্দীপ্রাচীন স্মৃতির চিরকুট।

 

সমুদ্রবিন্দুর কোলাকুলিতে মানুষের ঢেউ ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক হলেও

প্রবালের মতো আমারো হৃদয়, সৃষ্টির বাঁশিতে শেষরাগিনী

ধরেনি এখনো। এখানেই এখনো সমস্ত প্রতীতি।

 

মহাকবিদের নরকঙ্কাল ঘেঁটে দেখছি ডিএনএ জুড়ে

শব্দ নয়, কীর্তি নয়, দুটুকরো প্রেমের নিত্য আরতি শুধু।

তবু শরশয্যায় বিদ্ধস্ত অক্ষর বিন্যাস।

 

যেদিন নাগরিক গোলটেবিলে আমরা কলকলিয়ে উঠেছিলাম

কোলাকুলির মতো শারীরিক নৃত্যে পারদর্শী হতে,

মহাকালের ছায়ারা কি সমুদ্রমন্থনে নেমে

 

আরও গভীরে, গভীর থেকে গভীরে সেদিন

খুঁজে পেয়েছিল পরশপাথর?

ঠুঁটো জগন্মাথ যার আর এক নাম।

 

(২২-০৫-২০১৪)

সেয়ানা পাগল

সেয়ানা পাগল

 

আমরা যারা নিত্যদিনের বদ্ধপাগল?

ওয়াল জুড়ে লাইন লাইন কবিতা ঝোলাই।

শেষ লাইনের নোলোক ভরে ট্যাগের চটে বন্ধু চটাই।

সন্ধ্যেরাতের আজগুবি সব, লাইক দিয়ে মনকে ভোলাই।

আমরা যারা.....

আমরা যারা নিত্যদিনের চিত্তবীণায় প্রেমপিরীতির ছবি আঁকি।

সুযোগ বুঝে অফিস কাটি, উপড়ি পাওয়া

চৌদ্দআনায় জামদানিতে সাজিয়ে বৌয়ের সঙ্গে হাঁটি।

প্রেম জোয়ারে ভাসিয়ে তরী শর্ত হাঁকি।

ন্যায্য কথা বলার বেলায় দাঁতকপাটি।

আমরা যারা.....

আমরা যারা নিত্যদিনের হিসেব রাখি।

গড্ডালিকায় পালের হাওয়ার হদিস বুঝে ভেসে থাকি।

আখের জুড়ে চৌদ্দপুরুষ দুধে ভাতে।

সুখের হিসেব মিলিয়ে নিতে হাতে হাতে,

 বিবেক জোড়ু দিচ্ছি কেবল মস্ত ফাঁকি।

আমারা যারা.....আমরা যারা.....

 

(০৩/০৬/১৩)


সোহাগ

সোহাগ


মাছরাঙা আলো জ্বেলে দিয়ে

বিনম্র সন্ধ্যায় তোমার আদর

নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে চলেছে!

ঘুঘুডাঙ্গার মাঠে ভূবন নেমে আসা বিকেলে

আমার ঘুড়ি উড়েছিল একদিন

সূর্যের অভিমুখে

জলডিঙ্গি মেঘ সাঁতরিয়ে

শব্দের মিছিলে

মিলনের সব রাত এসে জড়ো হলে

আমাদের গোলাপে রূপকথা

নোবেল পেতে পারে!

 

(১৭/১০/১২)

স্কুপ নিউজের শিরোনামে

স্কুপ নিউজের শিরোনামে


মধ্য বয়সের ধারাপাতে মুদ্রাদোষের আনোগোনা,

অনেকটা পানাপুকুরের ঢেউয়ের মতো

একদিকে ঠেলা দিলে উল্টো দিকে এগিয়ে আসে

কবিখ্যাতির অর্থানুকুল্লে বাঁধানো দাঁতের হাসির মতো

নিশ্চিন্ত তাকিয়ায় হেলান দিয়ে,

অটোগ্রাফ দিতে দিতে

ভক্ত পাঠিকার নরম হাতের সান্নিধ্য:

মেদে মেদে মৌতাত জমিয়ে তোলে

কোথাকার শব্দের শৃঙ্খল দোতারার শরীর জুড়ে

তাথৈ করে উঠলে-

মধ্যবয়সের উঠানে

নতুন করে আকাদেমী পুরস্কারের লোভ

পুরোনো শব্দের শিকলে নতুন চুনকাম

মান্ধাতার বাবার আমল থেকে

আমাদের বীর্যপতনের শব্দে

কবিতার পলেস্তরা খসে গেলে দেখা যেত

খবরের ভিতেরর খবর

স্কুপ নিউজের শিরোনামে

অথৈ শব্দের উজানে নয় ---

যাত্রা করেছি খ্যাতির নৈঃশব্দে

 

(০৯/০২/১৪)

স্ট্যাচু

স্ট্যাচু 


ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি বুকে নিয়ে

সন্ধ্যা নামল ধীর পায়ে।

আষাঢ় ভরা তৃষ্ণা নিয়ে আমার পাঁজর

দিন গুনেছে অনেক।

মানুষের ঘরবাড়ির স্বপ্নে মধ্যরাতের নিশ্চিন্তি

যত তীব্র তত যুদ্ধ

নিশ্বাস ফেলে ঘাড়ের কাছে।

 তোমার ঘাড় উজিয়ে চলার মধ্যে যে ঔদ্ধত্বটুকু ধরা আছে , সেও

সন্ধিমনে দাঁড়ায় যুদ্ধের কাছে।

অথচ নদীতে নামা সদ্য ঝর্ণার মতো

আমাদেরও স্বাধীন স্বপ্ন ছিল একদিন।

সাধ পূরণের ঢেউ গুলো কবে যেন গর্বের চরায় ঠেকল।

গতিহারা সকালের রোদ

আলো নয় উত্তাপ নয়

নিছকই সময় জানান দিতে থাকে।

ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি বুকে নিয়ে সন্ধ্যা

ফিরে চলে গেলে

আমাদের পাঁজরে আজ আর আক্ষেপ নেই কোনো।

তবু অপেক্ষার অভ্যাসটা

আজও হারিয়ে যায় নি দেখো।

 

(২৪/০৬/১২)

স্বপ্ন-সাধ-সাধনা

স্বপ্ন-সাধ-সাধনা


পুরুষ নারীকে ঘিরে ঘুরে গেলে

আলোকিত হয়ে ওঠে দিন-

ভালোবাসা খুঁজে পায় জীবনের মানে

নয়তো মৃত্যু হামাগুড়ি দেয় হৃদয় গভীরে

পুরুষের আহ্নিক গতির নৃত্যে ও গানে

পৃথিবী জন্ম নেয় নারীর শরীরে

 

সেই শিশু সবুজের গন্ধ মেখে নীল চোখে অনন্তকে ডেকেছে

ঈশ্বরের প্রতিমা গড়েছে মাটির ধানে

অতল সাগর থেকে পর্বত শিখরে ক্লান্তিহীন গ্লানিহীন যৌবনের টানে

কেবল জীবন আঁকে রঙের ভিতরে

 

অই রঙ বুকে নিয়ে পুরুষের হৃদয়ে

নারীকে ডেকেছি আমি

ইতিহাসের পটে আগামীর ধ্যানে

তাইতো রণ রক্ত সফলতার পরেও

মানবতার তীরে অহংকার ধুয়ে নিয়ে ভালোবাসার টানে

মানুষের স্বপ্ন-সাধ-সাধনা  সব মানুষকে ঘিরে

 

 (১৮/০৯/০৮)

যে কবিতাটি খুঁজতে চান তার শিরোনাম দিয়ে সন্ধান করুন