সূর্যভ্রূণ
আহ্লাদী ঈশ্বরের কাছে
অঙ্কুরিত প্রতীক্ষার কামনায়
একখণ্ড মানস সরোবর পেলে।
অবরুদ্ধ ক্লান্ত নীলিমার শরীরে
জলপাই রঙের মেঘমল্লার
কোটি কোটি স্বপ্ন বুনে ফেলে।
মৃগনাভীর মোড় পেরিয়ে
উন্মুক্ত কৃষ্ণগহ্বরে ডুবে যেতে যেতে
দিকশূন্য অস্তাচলের গান
ভেসে ভেসে আসে।
তখন আবহমান শব্দপুঞ্জের
প্রচলিত বিশ্বাসে কয়েক টুকরো
সকালের উষ্ণতার
বড়ো প্রয়োজন আছে।
একশ আটটি নীলপদ্মের
ডানায় মায়াকাননের পথে
বেতসলতার মত নারীর ভালোবাসা
ছুঁয়ে গেলে ঊর্ণনাভ হৃদয়,
ফুলেল মরিচিকা পিঠে হাত রাখতে চায়।
আহ্লাদী ঈশ্বরের মধ্যরাতের চুম্বনে
আমাদের অন্তিম সাক্ষাত-
অসমাপ্ত উপকথার ছায়াশরীরে,
সূর্যভ্রূণ পদধূলি রেখে চলে যায়।
(১১/১১/১২)