মৃত্তিকার মত তুমি
আমরা যারা সমুদ্রের ঢেউয়ে লুটোপুটি খেয়েছি
মৎসকুমারীর ধ্যানে।
বিশুদ্ধ জলকেলির শাদা রাতে,
বৃন্দাবনের ঘাটে রূপবতী করে গেছি
গোপিনীর গোপন রাত।
শুশ্রূষার মতো চুম্বনে সব ক্ষত ধুয়ে নিয়ে ফিরেছি বারবার।
জেনেছি নারীর মানে বিষাদসিন্ধুর বিন্দু ছেঁচে;
নীলকণ্ঠ বিষের পাত্রে সুজাতার পরমান্ন।
আনবিক বিস্ফোরণ, আর বিষাক্ত গর্ভের লড়াইয়ে
তবুও যিশুর প্রতীক্ষার দশমাস।
জেনেছি নারীর মানে কলকাতা আবার কলোল্লিনী হবে।
অভিভাবিকার মতো কবিতার নির্ধূম আনন্দে
ডেকে নেবে বুদ্ধ এবং কনফুসিয়াসকে।
দেখেছি নারীর মানে শতাব্দীর সূর্য জুড়ে
অবরুদ্ধ নগরীর চৌকাঠে বার বার মাথা ঠোকা।
বিচূর্ণ হৃদয়ের নদী বেয়ে তবু- মানুষের আলেক্ষ্য লিখে রাখা।
(১২/০৮/১৩)