ভ্রূণ

 

ভ্রূণ

 

অনেকক্ষণ কেটে গিয়েছে তারপর

রাত্রি আরও গভীরে ডুব দিয়ে

নিমগ্ন হয়েছে গহন নিস্তবদ্ধতায়

 

এই সময় শিথিল শরীর

বুনো লতার মতো এলিয়ে পড়ে ছিল

এই সময় মন স্বচ্ছ জলের মতো

টাপটুপ, কিন্তু আয়নার মতো

কোন প্রতিফলনের সাক্ষী ছিল না

 

মাঝখান বরাবর দূরত্বের সংলাপগুলি

ততক্ষণে বিবস্ত্র লজ্জায়

পরস্পর মুখ লুকাতে ব্যস্ত

রাত্রি তখন তৃতীয় প্রহর

যখন হামাগুড়ি দিতে দিতে

শরীর জুড়ে ঘুম

 

সেই সময় আর কোন আলাপ নয়

নিশব্দের আলপনায়

ঈষদুষ্ণ শান্তিটুকুই

প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে

 

১লা মার্চ ২০২৩

©শ্রীশুভ্র

 

যে কবিতাটি খুঁজতে চান তার শিরোনাম দিয়ে সন্ধান করুন