আরোগ্যহীন
বসন্ত
পড়ন্ত দিগন্তে সূর্য্যডোবা ব্যালকনিতে
নৈঋতের অভিবাদনে হাত রেখেছি বাড়িয়ে।
খণ্ড মেঘের নির্ভাঁজ শান্তি চতুর্দিকে।
নিমেষহারা অপলক অনুভব দিলো নাড়িয়ে।
বহুরূপী গোধূলীলগ্নে
উদ্ধত বুকের কারুকাজ দুলিয়ে তুমি দাঁড়ালে।
অহর্নিশ উষ্ণ প্রস্রবণে
উর্বশী নৃত্যের ঝর্ণায় এদিকে অধর বাড়ালে।
খণ্ডিত প্রেমের দূর্ভাবনায়
আরোগ্যহীন বসন্তের তাড়নায় বিব্রত স্বভাবতঃ।
নিরুদ্দেশের পথিক। স্বপ্নমগ্ন স্রোতস্বীনী
তোমার অধরে হইনি তবু অবনত।
হৃদয়ের গলি-ঘুঁজির ঘায়ে বারেবারে
কানাগলি হানা দিয়ে গেছে মেয়ে।
জগদ্দল পাথরের স্থিতি হাড়হিম শিহরণ
তাই ওঠে নামে শিরদাঁড়া বেয়ে।
(০২/১০/১২)