দুঃশাসনের
সময়
বর্ণপরিচয়ের মুখবন্ধে
আমি তোমার আঘ্রাণ নিয়ে বসে আছি।
ময়ুরপঙ্খী নাওয়ে
বিশ্বস্ত বটের ঝুড়ি নামিয়ে রেখেছি তোমার নাভিমূলে।
নীলপদ্ম মানস সরোবর থেকে আমার পক্ষীরাজ
তোমার প্রতিটি অক্ষরে টগবগ করতে উন্মন।
জলঝর্ণার রূপালী সন্ধ্যার বেসামাল
নেশার মতো হয়তো বা।
হয়ত বা চাঁদের সিঁড়ি বেয়ে জ্যোৎস্নার স্থিতপ্রাজ্ঞ অধরের মতো।
ভোরের চুমুর স্বপ্নবিভর প্রত্যয়ে।
তবু বলাকা সন্ধ্যার নীড়ফেরা লগ্নে তৃপ্তির টুপটাপে তুমি এলে কি?
মঙ্গলশঙ্খের প্রলম্বিত ঢেউ বিছিয়ে মাধবীলতা উঠোনে-
কাঞ্জিভরমের বিদগ্ধ রূপের মতো?
হয়ত অযুত শ্যাওলার যোজনগন্ধ্যা দূরত্ব
অশনি আসতে দেয়নি।
ভোরের কাগজ খুলে দ্রৌপদী লজ্জায়
মুণ্ডুপাত করি নিজেরই। কৃষ্ণ হতে পারিনি।
(০২/০২/১৪)