অসুখের
পাঁচালি
সম্ভ্রান্ত অসুখগুলো ক্রমেই
ত্যাগ করছে আমাকে।
রোজকার আর্শিতে চোখ রেখে রেখে টের পাই,
গভীররাতের যন্ত্রণাগুলো-
অসম্পূর্ণ সকালের গোটানো ক্যালেণ্ডার-
ভগ্নস্বাস্থের শীর্ণ দুপুর গড়ানো বিকেল-
ক্রমশ শিকড় হারানো সন্ধ্যার গাঢ় অন্ধকার-
উৎকণ্ঠার শিরা-উপশিরা বেয়ে ততটা হৃতসর্বস্ব নয় আর।
পিচ গড়ানো সর্পিল রাজপথ বেয়ে
আমিও সরীসৃপ হৃদয়ে শীতঘুমে আয়েসী হয়ে উঠেছি ক্রমশ।
রাজকোষ বোঝাই
মানবিক যন্ত্রণা থেকে ঐশ্বর্য্যের শ্লাঘার আঘ্রাণে-
আমিও পরিশ্রমী আজ।
আর্শিতে চোখ রেখে দেখি
চোখের কোলে সেই মেহনতি কালি নেই আর।
মধ্যরাতের জলসায় শ্যাম্পেনের ফোয়ারা জমছে ক্রমেই।
লেলিনের ভগ্নস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে
পায়ের তলায় গোটা পৃথিবী
আজ।
(২৭/১২/১৩)