এক জীবন
ঘুঙুরের শব্দ শুনি স্বপ্নের
খুঁটিতে।
রঙমশালের হাসি
থেকে থেকে উড়ে যায় দেখি
বন্ধ চোখের ফাঁকা বারান্দার
রেলিং টপকে।
ফিসফিস গুঞ্জনগুলো
যেন উদ্ধত দুর্বিনীতের মতো
কৈফিয়ত তাক করে আস্তিনে
লুকানো গুলতির
নিখুঁত নিশানায়।
বিষাক্ত নাগিনীর ছোবলের মতো
ব্যাঙ্গবিদ্রুপের যতি চিহ্ন
ক্ষতচিহ্ন এঁকে দিয়ে যায়
ভালোবাসার দুর্বল মুহূর্তের বিবস্ত্র
সন্ধ্যায়,
নিষ্প্রদীপ সীমান্তে।
ভাঙাচোড়া টুকরো টুকরো
আবৃত্তিগুলো
তখনো লজ্জা নিবারণে স্মৃতির
জলসায় স্বরক্ষেপণে মগ্ন।
দিগন্তের দুশ্চিন্তার ধূসর রাগিণী
ত্রিতালে ত্রিভুবন জুড়ে
বুষ্টির দিকে নীরবে তাকালে, তখন-
মহাকবি মহাকাব্যের তোড়জোড়
করেন।
মহাপ্রস্থানের আগে।
শেষ রাতের সীমান্তে।
(২৫/০৫/১৩)