মন ফড়িং
সব নারী ঘরে ফেরে না।
সব নদী ডুব সাঁতার জানে না।
পায়ে পায়ে বাঁধন খোলার আয়োজনে
নকশিকাঁথার দুপুর হাতছানি দিতে থাকে।
নদীর বাঁকে গোধুলির আলপনা
নারীর মনের কথা বলে।
যে নারীরা ঘরে ফেরে না,
যে নদী ডুব সাঁতার দেবে না,
চতুর্দশীর চাঁদে তাদেরও মন কেমন করে।
রাত্রি তৃতীয় প্রহরে নদীর বাঁকে বাঁকে,
শরীরের অপভ্রংশ পূর্বরাগ ধরলে
কুমারী জ্যোৎস্না টলমল করে ওঠে।
স্থির চাঁদ
নিষ্পলক চোখে চেয়ে চেয়ে দেখে।
সব সঙ্গম ভালোবাসার জলে ভেজে না।
সব প্রেম প্রজাপতির রঙে
ডানা মেলে ওড়ে না।
তবু নদীর ঢেউ আর নারীর ওম
দুকূল ছাপিয়ে যেতে চায়।
বর্ষার মেঘে আষাঢ় নামলে
শ্রাবণঘন সন্ধ্যায় ভরে ওঠে
নদী আর নারীর সময়।
তখন কে আর ঘরে ফিরে যেতে চায়।
(২১/০৫/১৩)