মহানগর
সুষুপ্তির অন্ধকারের সিঁড়ি বেয়ে
নেমে গেছে
বধির চেতনা।
নাগরিক রাতের শরীরে স্নায়বিক
দূর্বলতা
তীব্র থেকে তীব্রতর যখন।
শুদ্ধতর নিরুত্তর প্রশ্ন শায়িত
নিশ্চুপে।
আমাদের আলিঙ্গনের মাঝখানে।
জীবাশ্বের সন্ধ্যা এসে কেবলি
হাতছানি দেয়
রোজকার সঙ্গমে।
শাদা চাদরের মতো বলয়িত
ক্যানভাসে
সব রঙ ফিকে হয়ে এলে;
গর্ভের ভ্রূণে আমল কি হরিতকী
ফলাতে পারো কি
শরীরী বিভঙ্গে সামুদ্রিক সুনামির
উচ্ছ্বাসে
প্রলম্বিত উষ্ণ আবেগে?
মৃত্যুর অভিষেকে সঞ্চারিত প্রাণের
অতলে
বিন্দু বিন্দু প্রেম জমে
গেলে,
তোমার চুম্বনে শুদ্ধ করে
নিও তবে আমার শরীর।
সন্ত্রস্ত নিস্তব্ধ রাতে যখন
ইদুঁর দৌড়ে প্লাবিত নগরী।।
(১৯/১০/১২)