রূঢ়ভাষ
মুখ ঢেকে রাখি সন্ধ্যা নামা আঁধারে,
সারাদিন রোদের মন্থন, চোখে লাম্পট্যের প্রত্নতত্ত্বে-
পূর্বপুরুষের শিলালিপির মতোন
খুঁজেছে তোমারে।
দ্রৌপদীর শাড়িও শেষ হয়ে এলে
কৃষ্ণ বা ভীষ্ম লজ্জা পেতে পারে ভেবে উৎকন্ঠিত নয় আমার হৃদয়।
আমি সেই ভাবে খুঁজেছি তোমায়।
গোটা গোটা দিনের আলোর মত সুস্পষ্ট অক্ষরে
কুন্তীর নিরিবিলিতে লিখে যেতে আমার কবিতা
আমি সেজে উঠেছি আপন স্বাক্ষরে!
প্রবাহিত রূপের বন্যায় নয়। গুণপনায় ভরা নদীর সঙ্গমেও নয়
প্রার্থিত কোনো আরতি। মননের গাঢ়
চুম্বনের
অলিখিত আদরের মহাকাব্যেও নয় আমার এ সন্ততি।
জীবনের দৈন্দিন চড়ুইভাতির আযোজনে, উন্মুক্ত
প্রহেলিকার মতোই তোমার গোপন উষ্ণতা জুড়ে
উড়েছি উত্তপ্ত উন্মাদনার উন্মত্ত উচাটনে।
মুখ ঢেকে রাখা সন্ধ্যা নামা বিলম্বিত আঁধারে, সারাদিন
বিবস্ত্র রোদের মন্থন, চোখে লাম্পট্যের প্রত্নতত্বে
উত্তরপুরুষের শিলালিপিতেও খুঁজে নেবে তোমারে।
(১৭-০৯-১৪)