সাক্ষীগোপাল
কথা কমে এলে মনের ঝুলবারান্দায়
আমি একা। ইতস্তত বিক্ষিপ্ত
হয়তো বা
বিক্ষুব্ধ স্মৃতির টুকরো
ছড়িয়ে এধার
ওধার। বাসে আছি হাত
পা মেলে
টিপ টিপ রোদভেজা বৃষ্টির
দালানে
কতগুলো সাদা বক। দুই
ঠ্যাং মেলে
আমারই মতো ডানা গুটিয়ে
জুবুথুবু
তবুও অপেক্ষা করে ফড়িং
কিংবা মাছের
এদিকের পথে ও রাস্তায়
গলি আর
বাইলেনে শান্তির সাইরেন
বাজিয়ে
মিছিল এগিয়ে গিয়েছে
অনেকদূর।
যতদূর ইভিএম ভোটারের
ভিড়
আমি আর মুখোশের সংখ্যা
গুনি না
বুদ্ধিজীবীদের আঁতুর
ঘরে উঁকি দিলে
দেখা যেত হয়তো বা রাম
শ্যাম যদুদের
জননী শুয়ে আছে দুই পা
ফাঁক করে
মধ্যবিত্তের রাত্রি
নামলে মশারির ভিতর
সকলেই নৃপতি তখন। ব্যস্ত
বংশবিস্তারে
আমার হৃদপিণ্ডের জাদুঘরে
থই থই
অক্ষরে মৃত সব মমিদের
ব্যাথা নিয়ে
প্রসব বেদনা ওঠে। নবজাতকের
শ্বাস
প্রশ্বাস আর মুষ্ঠিবদ্ধ
হাতে ইতিহাসের
প্রতিটি পাতা পড়ে দেখে
নিয়েছি রং
নাম্বার শুধু। বাকিটা
সময়ের প্রলাপ
১৫ই ভাদ্র’ ১৪২৭