প্রতীক্ষা
এইখানে ফাঁকা রেললাইনের বাঁকের মুখে দাঁড়িয়ে আছি।
একপাশে টলমল নদী হাজার বছরের জল নিয়ে চলছে।
ওপারে উচুঁউচুঁ টিলার ধারে সবুজের সমারোহ।
ট্রেনের সময় হয়েছে অনেকক্ষণ।
তবু বাতাস এখনো নীরব।
মাটিতেও বাজেনি চাকার শিহরণ।
বিনম্র ধারাপাতে নিয়মিত জল সিঞ্চন করে দেখেছি
প্রেয়সীর চুম্বনে ভেজেনা সমস্ত শরীর।
দরজা বন্ধ রাতের নিশিযাপন শয্যায়
অস্থিচূর্ণ অঞ্জলি দিয়েও পথ রয়ে যায় সংকীর্ণ।
পরশপাথরের খোঁজে নারীর হৃদয়ে
আলোর পতঙ্গ হয়ে ডানা ঝরে যায় শুধু।
এইখানে সোনালী নীরব আকাশে
প্রেয়সীর মুখ এঁকে দেখেছি চোখে পলক পড়ে কিনা।
টলমল জলের হাত ধরে তুলির আঁচড়ে
রঙের মোচড় দিচ্ছি শুধু।
প্রেমের শিহরণ শোনা যেত যদি অতিদূর ট্রেনের হুইসেলে।
(১১/১১/১২)