শূন্য একক
আরও শুভ্র মানবিক হতে চেয়ে তুমি নক্ষত্রের মতো
বিশুদ্ধ স্ফূলিঙ্গে সোনালী নবান্নের ঘ্রাণে
প্রথম- শিশুর মুখ দেখতে গিয়েছিলে।
দীপ্তিমান পয়ারের মতো হৃদয়ের মিল,
সব বিপন্নতা ভয় সংশয়ের তন্তুজাল গুটিয়ে নিতে চায়।
কাস্তের মতো চাঁদের অন্ধকারে ঠোক্কর
খেয়ে গেলে খালি পড়ে থাকে সহস্রাব্দের নিরালা বোধিবৃক্ষতল।
সবুজের অন্তরে কোনো কালিমা নেই জেনে
সজল অনুভবের বাতায়ন; তোমার নরম হাতে
কাকে খুঁজেছিল যুদ্ধ মধ্যবর্তী শান্তি পর্বে?
রূপালী জ্যোৎস্নার টকশোতে তোমার বিতর্কসন্ধ্যা
তোমারই দিকে চেয়েছিল জানি অনাথ শিশুর মতোন।
তবু আমি আজকের সেমিনারে এসে
প্রেম ভালোবাসা মৃত্যু নিয়ে কিছু বলিনি।
মধ্যরাতের পর সবকিছু নিরর্থক মনে করে।
(৩১/০৯/১৩)