তবুও অনিমিখ
ছায়াশরীর নিয়ে সমুদ্রের
সিঁড়ি ভেঙ্গে
রৌদ্র করোটিতে নেমে গিয়েছি
মায়া সভ্যতায়।
হরপ্পার পাথর ভাঙ্গা বেদনা
তবু মোলায়েম হাতে প্রীতিটুকু
বিনিময় করে
নাগাসাকির সাথে।
সন্ধ্যার পম্পেইয়ের নিরুদ্বিগ্ন
পথে
প্রেয়সীর`উন্নত বুকে
পুরুষের অভীপ্সা গুনে গেঁথে
শরীর ভিজিয়ে নিয়েছি দ্বারকার জলে।
সেদিনের বৃন্দাবন মথুরার রাজপথের
শিকড়
বিশ্বায়নের ধ্বজা উড়িয়ে ড্রয়িং
রুমের চৌকাঠে।
মন্টিকার্লোর ক্যাসিনোতে খেলে
যায় লণ্ডন ইস্তাম্বুল
পারীর বিষদাঁত।
সাম্রাজ্যের রক্তচক্ষু উপেক্ষা
করে দেখে নিলাম
উলঙ্গ শিশুর শেষ হাসি
ঝলসানো ন্যাপামে।
ছায়াশরীর নিয়ে
ঐতিহাসিকের সেমিনারে চতুর
শকুনির সাথে আলাপ।
গোয়েবেলস্ থেকে পেন্টাগন
সেই একই সংলাপ।