অভিমান

 

 

অভিমান

 

সমুদ্র নেমেছে তোমার নিমগ্ন আঁচলে।

সারাদিন সূর্য পোড়া ছাই ঘেঁটে

 ক্লান্ত ঢেউগুলি এলোমেলো শব্দ বিন্যাস  ছেড়ে

ভোরের কোকিলের মতো ছুঁয়ে যেতে চায় তোমাকেই

 

গৃহিনীর নরম চলনে সন্ধ্যা নেমে এলে তুলসী প্রদীপে-

দিগন্ত রেখার মতোন যাদের হারিয়ে যেতে চায় মন

তাদের মতোই ঢেউগুলি খেলা করে তোমার চারধারে।

 

ঘূর্নায়মান ইতিহাসের মুদ্রাদোষের মতন

তুমিও কি পোশাক পড়ে নেবে যত্র তত্র,

অসময়ে অসঙ্কচ বিহল্বতায়,

 কিংবা সন্দিগ্ধ বৈদগ্ধের অভিজ্ঞতায়- দৈনন্দিন?

 

মুহুর্ত্তের মহাভারত এই সমুদ্রের মতোন সব ঢেউ ধুয়ে নিয়ে

লবণাক্ত হলে, আসমুদ্র জলকণা তোমায় সিক্ত হতে চায়,

একবার দুইবার, তারপর কেঁদে ফেলে হঠাৎ হঠাৎ।

 

তোমার পায়ের তলায় মানুষের মতো যত পিছুটান,

অনন্ত এই জলনাশি তত যেন বেশি করে ছুটে আসে

তোমার বুকের কাছাকাছি, বাছবিচার না মেনে দৈনন্দিন।

 

স্মৃতির দোলনকে উপেক্ষা করে ভালোবাসা

প্রেম সঙ্গমের নিখুঁত সময়,

যৌবননৃত্যতটে দীপাবলি জ্বেলেছে দেখ,

তথাপি কি ফিরে যেতে চাও তমিস্রার পারে, দৈনন্দিন!

 

(১৮-০৯-১৪)

যে কবিতাটি খুঁজতে চান তার শিরোনাম দিয়ে সন্ধান করুন