কেমোথেরাপির
শেষে
কোনো হ্রদ নেই আর অমৃত সিঞ্চনের।
আলোড়ন নেই দিন রাতের সংবর্তেও।
চতুষ্কোন জীবনের অন্ধ দৃষ্টির নিরুৎসাহিত প্রভাব,
শতাব্দীর সূর্যে।
মৃত সারসের মতো শিথিল পালক ফেলে
মানবিক ক্ষণায়ু ভোর।
স্মরণীয় স্মৃতির উত্তরাধিকার নেই আর অবশিষ্ট কোনো।
পরস্পরের হাতে অমলিন প্রথম কদম ফুল নয়।
কিংবা কস্তুরীমৃগের ঘ্রাণ।
শকুনের উল্লাসের মতো সব গ্লানি- মৃতজীবী পরজীবী
অথর্ব কোষের শেষ সম্বল কেমোথেরাপিও ম্লান।
আমাদের পারস্পরিক স্নায়ুর গ্রন্থনায়
গুপ্ত আয়ুধের প্রস্তাবনা। আনবিক বিস্ফোরণের ছক।
শব্দের প্রাচীর ব্যাপী তবু অনৃত সংলাপের কারুকাজ।
প্রত্নতত্ত্বের মৃত কবর খুঁড়ে তারপর-
শতাব্দীর হাড়গোড়ে বিপ্লবের কংকাল শুধু নড়াচড়া করে।
(১৪/০৮/১৩)