কে
তুমি নন্দিনী
নিরিবিলি শয্যার ভাঁজে
পূর্ণিমার ঢেউ আমানিশি রাতে,
তোমার দরজায়
কড়া নেড়ে গেলে...
সপ্তর্ষিমণ্ডলের বিপন্ন সভায়
কোর্ট মার্শাল বসে।
বেআব্রু রোদের কিনারা
তোমার কাঁধে নিষ্পলক
ঝুলতে থাকলে
মন্থরা মনু সংহিতা পড়ে।
বালুকাবেলার নাতিদীর্ঘ
ঝিনুক কুড়ানো ছায়া
তোমার গা ঘঁষাঘেঁষি
করে আদিখ্যেতা করলে
সমুদ্র সফেন।
পানশালার মাধবী সন্ধ্যায়
কয় পেগ মৌতাত তোমায়
আদর সোহাগে অভিবাদন
জানাতে গেলে
সরকারী নথিপত্র নড়েচড়ে ওঠে।
তোমার হাসির ইজেলে
ঈশ্বরের ভাবমূর্তি
টাল খেয়ে গেলে
ভাস্কর উৎসাহিত হন।
তবুও তোমার ঠোঁট ফুললে
কারণে অকারণে।
আমার গোনাগুনতি অক্ষর
তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে আসে
ছন্দে অনুপ্রাসে আগাগোড়া
নিষিদ্ধ বিন্যাসে।
(১১/০৫/১৩)