দৌড়
অবিন্যস্ত চুলের মতন আকাঙ্খাগুলো
নিয়ে
রেখেছিলাম আশার ফাইলে
গেঁথে।
বড়ো জটিল পথঘাট জেনেও
প্রতিটি ক্রসিং-এ
বিশ্বাসের খুঁটি পুঁতে
পুঁতে বেলা পড়ে আসে ক্রমশ।
ভরসার প্রদীপে সলতে পাকাতে
পাকাতে
কবে যেন চুল পেকে গেল।
তবুও কি অপেক্ষা ফুরোলো?
যুগে যুগে যুগান্তরের পথিক এসে
আমার খুঁটিতে জ্বেলে দেবে বলে
প্রেমপ্রদীপ্ত আলোর সোহাগ।
ভালোবেসে রেখে ছিলাম হৃদয়
দহনান্তের
পোড়া ভস্মাবশেষ।
প্রতিদিনের নাওয়া খাওয়ার মাঝে
রোজকার গ্লানি এসে
নিষ্প্রদীপ সন্ধ্যা ঘনালে
আমারও হৃদয়,
ভাঙ্গা মাস্তুলের মত টলমল
করে ডুবে যায়।
তবুও দেখ যুগান্তরের মানুষ।
তোমার ঠিকানায় ইচ্ছেডানায়
উড়িয়েছি
শেষ ইচ্ছেটুকু।
সূর্যোদয়ের রঙে আমার কবিতাখানি।
(১২/১০/১২)