ঊরুসন্ধির
নৃত্য
গভীর রাত
রাতের গল্পে তখন ঊরুসন্ধির নৃত্য
টুপটাপ ঘামের আলাপ
শব্দের মিছিল জুড়ে
তৃপ্তির রুটমার্চ
বাকি সব, সবকিছু কার্ফিউর আড়ালে
স্তব্ধ নিস্তবদ্ধ নির্বাক নিশ্চুপ
নিষ্পলক রাত জানলায় উঁকি দিতে ব্যস্ত
তখন
তখনই গল্পের শুরু
চোখের গভীরে যে প্রত্যয় ছিল
থাকে কিংবা থাকা দরকার
বুকের অন্তরালে বিশ্বাসের স্থিরভূমি
সেসব, সেসবই ছিল
যথাযথ। যেমনটা থাকে প্রাথমিক
রোজকার অভ্যস্থ রুটিন
কিন্তু
এ গল্পের ভাঁজে ভাঁজে
যথোচিত নিশ্চয়তা নাই কোন
কোথাকার ঝড় কখন উঠবে কোথায়
কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে
জানা থাকার কথাও নয়
থাকে না তাই
গল্পের মোড় সেইখানেই
সেখানে ঝটিকা সফরে
উদবৃত্ত প্রেম ভালোবাসার বর্ণমালা
অনাহুত, তবুও বাহির দ্বারে- কেননা
অভ্যস্থ রুটিন বিন্যস্ত সময়
বিবস্ত্র রাত পাশ ফেরে কাজ হয়ে গেলে
সকালের এলার্ম দেওয়া ঘড়িতে
এই ঘড়ি। ঘড়িই কাল
যে কোন বিন্দুতেই চক্রবৎ
গল্পের প্লট বাঁধা গরুর মতোই
জাবর কাটে। সুস্থির সময় অস্থির
গ্রন্থির সীমানায় ঘাই মারে
টলমল রাত অশান্ত প্রভাত
আলাপের তাল কেটে
সংলাপের তিড় প্রলাপের তীরে
তিরতির করে ছুটে চলে
এখানেই গল্পের পরিসমাপ্তি
হলে ভালো। ভালো হোক মন্দ হোক
তবু কথা রয়ে যায়
গভীর রাত রাতের কালো চোখ
আলো আরও আলো চায় কি?
কি বলে মানুষ? ঊরুসন্ধির নৃত্যে