পুঁজ

 

পুঁজ

 

জলের ভিতর ঝুলে পড়া প্রতিবিম্ব দেখি

বাতাসের উড়ো চুলে প্রাণ খুলে গান শুনি

দেবদারু পাতায় দুলতে থাকা স্বপ্নের মাঝে

দোল খাই গভীর ঘুমে, পাশে পাশবালিশ রেখে

 

টোবিলল্যাম্পের আলোয় গল্পের বই খুলে রাখি

না পড়া গল্পের মাঝে দিক হারিয়ে ফেলি প্রায়ই

এভারেস্টের শিখরে না হোক, মনুমেন্টের উচ্চতায়

ইচ্ছেগুলি টাঙিয়ে রেখে পাশ ফিরি পাশে, নিশ্চিন্তে

 

চিড়িয়াখানার জন্তুদের মতোই আন্দোলনে নেই,

বাকি’রা ব্যারিকেডের ওপারে গান গায়, হাত ছুঁড়ে

আমার হাত জুড়ে শুধু বাড়া ভাত রেশনের চালে

চাল ফুটো হলে ত্রাণের ত্রিপলে ঢেখে রাখি ফুটো

 

আমি’তো পাথরের মতো সহ্যশক্তি নিয়ে চুপ আপাতত

অন্তর্গত লজ্জাশরম সব দগদগে ক্ষত পুঁজে বিষাক্ত যদিও

তারপরেও জলের ভিতরে ঝুলে পড়া প্রতিবিম্ব দেখি

সেই চোখ, নাক মুখ, দুই কান কাটা বেহায়ার মতো……

 

২৮শে জুলাই ২০২৩

 

যে কবিতাটি খুঁজতে চান তার শিরোনাম দিয়ে সন্ধান করুন