পথরেখা
সব নৌকা ঘরে ফিরে এল মাস্তুলের
ভগ্নাবশেষ নিয়ে।
সমুদ্র জোয়ার পায়ের তলায়
তবুও ভেজাতে পারেনি বিশ্বাস
মুখর কার্পেটের নিপাট বুনন।
কত যুদ্ধ জলোচ্ছাসে সংসার
ভেসে গেছে ভাব।
নির্বাক কামান সাক্ষি থেকেছে সব ষড়যন্ত্রের।
প্রেমিকের ঘর থেকে
প্রেমিকারা ক্রমে চলে গেলে
নিস্তবদ্ধ আধাঁরের প্রদীপের
আড়ালে।
তারপরও মরুভুমি মরিচিকা আঁকে।
অনির্বাণ স্বপ্নের সাঁকোতে।
আমাদের মুখোশ টাঙানো রাতে
কত ফসিল চমকে চমকে ওঠে।
কত শপথ গড়াগড়ি
খেল সন্ধিপত্রের জৌলুসে।
কত গোলাপ কুঁড়ি
কাঁটা হয়ে ঝরেছে রাত্রি
তৃতীয় প্রহরে।
তবু এই দেখো আমি
দাঁড়িয়ে তোমার পথের ধারে
সন্ধ্যা অবসন্ন আধাঁরে
সন্ধিপত্র নয়।
শপথের ভড়ং ও নয়।
আর একটা শুধু তাজা কুঁড়ি
হাতে।
(০৯/০৭/১২)