শঙ্খমালার তীরে
শঙ্খমালা নদীর ঢেউয়ে বৃষ্টির গান শুনছি।
শ্রাবণ সন্ধ্যার ভিজে বাতাস
মনের মাঝে আসর বিছিয়েছে নীল নির্জনে।
কতগুলি রাজ হাঁস জিরো আওয়ার্সের মত
হট্টোগোলে পরস্পরের ওজন বুঝে নিচ্ছে।
যান্ত্রিক বিমানের যাত্রীরা যখন
মেঘের উপর পার্থিব ঘর্ষণ থেকে অনেকদূর।
এই সেই শঙ্খমালা নদী।
যমুনার জলে ভেজা স্মৃতিগুলো নিয়ে
আজও চোরা স্রোতে ভাটিয়ালী গায়।
সারাদিন যত ঢেউ নেচেছে শরীরে।
যত ঘূর্ণীতে ডুবেছে হৃদয়,
যত শপথ ভেঙ্গে আমি জ্যোৎস্নার শরীরে
এঁকেছি দুষ্ট ক্ষত- সে সব ঢেউ গুনে দেখ।
কত তাজমহল করতে পারে জয়।
মেঘেঢাকা প্রেয়সী আমার। যত ব্যাথা দিয়েছি জীবনে।
তত পাপ দেখ ধুয়ে নিয়ে কেমন শঙ্খমালা নদীটির তীরে
আমি তাজমহল জপেছি অন্তরে।
(০৬/১০/১২)