শতাব্দীর কুঁড়ি থেকে
বটের পাতায় ঝিমোচ্ছিল মেয়েটা
,-- পৃথুলাই
কি আশ্চর্য্য না?
আমিও কি কম চমকে
উঠে ছিলাম।
ঘোর কাটতে দেখি;
সে হাসছে।
মিট মিট হাসি।
দু ঠোঁট গড়িয়ে পড়ছিলো
টুপ টুপ করে।
টাপ টুপ বটের পাতায়।
সদ্য ঘুম ভাঙ্গা রোদের সকালে সে এক
আশ্চর্য্য অভিজ্ঞতা।
নীরব রাতের অরব শিহরণ।
বটের পাতায় তখন
সে হাসি সফেন সমুদ্র নিয়ে
ঢেউ হয়ে নেচে নেয়
ঢেউয়ের মাথায়।
কি এক অনন্ত বিস্ময়
পরম আনন্দ হয়ে
সুর হয়ে
বেজে ওঠে নাড়িতে আমার।
আমি চোখ মেললাম
তার চোখে।
টলটলে পায়ে
পাতার পর পাতা বেয়ে
নেমে এল সে আর এক পাতায়।
সদ্য জেগে ওঠা রোদের
পদ্যে বলল--
কেমন আছো?
কেমন আছ। সুর হয়ে
সুরে ঘুরে চলল--
আকাশের নীল থেকে
আরও দূর-- নীল- নীল-
নীল আকাশে।
নিরুদ্ধ দীর্ঘশ্বাসের ডগায়
অমল ধবল বাতাস থেকে
বাতাসের অনন্ত ছোঁয়ায়।
জলপ্রপাতের শব্দেপুঞ্জে
জলে ভেজা তৃষ্ণার জলে।
শুধু কেমন আছো।
কেমন আছো?
কেমন আছো?
.......... কেমন আছি?
আজও কেমন আছি?
আমি?.........
জৈষ্ঠের খর দুপুরে
- বসন্ত কি প্রলাপ বকছে
আজ?
নামিয়ে নিলাম চোখ।
ঘুরিয়ে নিলাম মুখ।
ফিরিয়ে নিলাম সুখ।
আর ঠিক তখনই
..........ঝুপ করে খসে পড়ল
একটা সকাল;
শতাব্দীর কুঁড়ি থেকে।
একটা অনন্ত সকাল........
যার স্বপ্নে
এক পৃথিবী মানুষের
রাতজাগা; -রাতে।
(১৯৯০)